সাইলেজ পুষ্টিকরগো-খাদ্য এবং সল্পমূল্যে এই খাদ্য উৎপাদন করা যায়। সাইলেজের বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে, যা ভালভাবে পচন করা হলে সাইলেজের শর্করা খাবারকে পরিপাকযোগ্য এসিডে পরিণত হয়ে গরুর খাদ্যে পুষ্টিহুণ বাড়িয়ে দেয়। উদ্যোক্তা এবং এসইপি প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পের ৩৬ জন উদ্যোক্তাগণ নিয়োমিত সাইলেজ প্রক্রিয়া করে তাদের উদ্যোগে ব্যবহার করছে। এলাকায় ২৮ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাঝে বায়োগ্যাস প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হয়। যা অত্র প্রকল্প এলাকার পরিবেশ দূষণরোধেজোরালো ভূমিকা রাখছে। সাইলেজের মধ্যে এনার্জি, আমিষ ও প্রয়োজনীয় ফ্যাট বিদ্যমান থাকায় ষাঁড়ের পরিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। সাইলেজ সঠিক মাত্রায় খাওয়ানো হচ্ছে বিধায়প্রজনন প্রক্রিয়ায় উন্নতি ঘটেছে। বর্ষা মৌসুমে সবুজ ঘাসে ময়েশ্চার বেশি থাকার কারণে শুকাতে সমস্যা হয়, আর শুকনো হলে পুষ্টিমান কমে যায়। তাই সারাবছর সঠিক পুষ্টিমান সমৃদ্ধ ঘাস গরুকে খাওয়াতে সাইলেজ হতে পারে উত্তম প্রক্রিয়া। কাঁচা ঘাসের তুলনায় এই প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করে রাখা ঘাসের গুণগত ও খাদ্যমান বেশি।