বানিজ্যিক ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদন ও প্যাকেজিং কার্যক্রম

বানিজ্যিক ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদন ও প্যাকেজিং কার্যক্রম

কমিউিনিটি পর্যায়ে গো-বর্জ্য একটি অন্যতম প্রধান সমস্যায় পরিনত হয়েছিল। সঙ্কর জাতের একটি গরু প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৮ কেজি গোবর উৎপন্ন করে। গোবরের সঠিক ব্যবহার না থাকায় খামার ও এর আশেপাশের পরিবেশ নষ্ট হয়ে রোগ জীবানুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়। অন্য দিকে কেঁচো সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল গোবর। কেঁচোকে প্রকৃতির লাঙ্গল বলা হয়। কেঁচো সার একটি পরিবেশ বান্ধব প্রাকৃতিক জৈব সার। মাটির জৈব উপাদানের পরিমান বৃদ্ধি করতে এই সার ব্যবহার করা হয়। কেঁচো সার ব্যবহারের ফলে রাসায়নিক সারের ব্যবহার শতকরা ৫০ ভাগ পর্যন্তসাশ্রয় করা সম্ভব। তাছাড়া উর্বরতা বৃদ্ধিসহ এ সার মাটির ভৌতিক, রাসায়নিক ও জৈবিক গুণাবলির উন্নয়ন সাধন করে। অন্যদিকে রসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে জমিতে যে শক্ত আবরন পড়ে কেঁচো সার তা ভেঙ্গে দেয়। ফলে জমির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও আদ্রতা বাড়ে। কমিউনিটি পর্যায়ে খামার ও এর আশেপাশের পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে সাধারণ সেবার আওতায় ১৭ জন মডেল উদ্যোক্তাদেরবানিজ্যিক ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদন প্লান্ট স্থাপন ও সম্প্রসারণ করা হয়। ভার্মি/কেঁচো সার বানিজ্যিক ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদন ও বিপনণের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে ১৭ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান পরবর্তী ঋণের অর্থ বিতরণ করা হয়। তাদের উৎপাদিত কেঁচো সার নিজেদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত এলাকার অন্য কৃষক, সার বিক্রেতাদের কাছে প্রতি ২কেজি প্যাক ৩০ টাকা দরে বিক্রয় করে অতিরিক্ত আয় করছেন । যেহেতেু কেঁচো সার উৎপাদনে খরচ খুব কম, জমির উর্বরতা বাড়ায় এবং ফলাফল খুব ভালো, তাই এলাকার অন্য কৃষকরাও কেঁচো সার উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন।কেঁচো সার উৎপাদনের ফলে গোবর বিক্রয়ের মাধ্যমে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করছে পাশা-পাশি কমিউনিটি পর্যায়ে সামগ্রিক পরিবেশ এর উন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা পালন করছে।